সুপ্রশস্থ রাস্তা- স্পিড লিমিট ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার- দিয়ে গাড়ী চলছে। হঠাৎ চোখে পড়ল স্পিড লিমিট ৮০, কয়েক’শ মিটfর পর ৬০, পরক্ষণেই ৩০। দেখা যাবে ৩০ এর জায়গায় কিছু মেরামতের কাজ চলছে। জায়গাটা পার হওয়ার পর আবার ১২০।
এই অংশটুকুতে গাড়ী চালানোর সময় লক্ষ্য করা যায়, কমানোর ফলক চোখে পড়ার পরেও চালকদের মধ্যে কেমন দায়সারা ভাব। ৮০, ৬০ দেখার পরেও ব্রেক প্যাডেলে স্পর্শ পড়ে না। গ্যাস প্যাডেল থেকে পা সরে কেবল। তাতে যা স্লো হয় আরকি! এভাবে ৩০ এর জায়গাটা পার হয় এর চেয়েও অনেক বেশি স্পিডে। কিন্তু অনেক দুর থেকে যখনই বাড়ানোর ফলক চোখে পড়ে তখন শরীরে কেমন উদ্দীপনা চলে আসে। ফলকের কাছে আসার আগেই তাতে লেখা অংক গাড়ীর ড্যাশবোর্ডে ফুঁটে ওঠে।
অর্থাৎ নিজের প্রবৃত্তিকে যখন দমন করতে হবে তখন দায়সারা ভাব আর প্রবৃত্তির অনুকূলে যাওয়া কালে উদ্দীপনা।
রাস্তায় এই ব্যাপার তো সবসময়ই ঘটে। কিন্তু গতকাল যখন তা ঘটল তখন কুর’আনের নিম্নোক্ত অংশ আমার মনে আসল:
দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়, যারা লোকদের কাছ থেকে মেপে নেয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে, আর যখন তাদেরকে মেপে দেয় অথবা ওজন করে দেয়, তখন কম দেয়। তারা কি বিশ্বাস করে না যে, তারা পুনরুথিত হবে।
(আল-মুতাফফিফিন ৮৩:১-৪)
ভাবুন তো! কুর’আন-সুন্নাহর স্পিরিট যদি আমরা দৈনন্দিন জীবনের খুটিনাটি পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি তবে কত প্রশান্ত, সুশৃঙ্খল,ও সুন্দর হবে আমাদের জীবন!